কে মিলাবে কোটি কোটি টাকা ক্যাশ আউটের সমীকরণ?


সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রিং আইডি। ইতিমধ্যে আলোচনার শীর্ষে থাকা একটি পরিচিত নাম রিং আইডি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে যাত্রা শুরু আরো প্রায় ৭ বছর আগে। ফেসবুকের সাথে পাল্লা দিয়ে এগিয়ে যাওয়া একটি শক্তিশালী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নাম রিং আইডি যা বাংলাদেশের গর্ব। হঠাৎ কেন এই রিং আইডি নিয়ে এত আলোচনা..?


যে কোন ই কমার্স প্রতিষ্ঠান দাঁড়াতে হলে তার একটা বিশাল কমিউনিটি তৈরি করতে হয়। প্রয়োজনে নিজের পকেটের টাকা দিয়ে ও যদি কমিউনিটি বেজ তৈরি করা যায় তাহলে যেকোন ধরণের ব্যবসায় ১০০% সফলতা থাকবে।

ফেসবুক নিয়ে বলতে গেলে প্রথমে বলতে হয় 

ফেসবুক কিন্তু যাত্রা শুরু করেছিলো শুধুমাত্র একটি প্রোডাক্ট নিয়ে তা হলো ফুল ডুপ্লেক্স কমিউনিকেশন। এক পর্যায়ে তা আজ ই কমার্স,ভিডিওগ্রাফি, ফ্রিল্যান্সিং, স্পনসরশীপ,শর্ট ভিডিও ইত্যাদি ফিচার যুক্ত করে কয়েক বছরের ব্যবধানে আকাশচুম্বী রূপ ধারণ করেছে। সবই সম্ভব হয়েছে বিশাল কমিউনিটির ফলে। এখন যেকোন প্রোডাক্ট নিয়ে ফেসবুক এগুতে পারবে কারণ তার রয়েছে হিউজ একটা কমিউনিটি।


একইভাবে গুগুল শুধুমাত্র সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে যাত্রা শুরু করেও আজ অসংখ্য প্রোডাক্ট বা ফিচার নিয়ে কাজে করছে।


রিং আইডি ও ব্যাতিক্রম নয়, যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করার লক্ষ্যে বিশাল একটা কমিউনিটি তৈরি করছিলো যেখানে অন্যান্য বিদেশে সাইটে আমরা নিজের অর্থ খরচ করার বিনিময়ে কিছু না পেয়ে কাজ করি সেখানে রিং আইডি তার গ্রাহককে মাসের পর মাস টাকা দিয়ে নিরলস ভাবে কার্য পরিচালনা করছিলো।


তাহলে কেন হঠাৎ করে সব কিছু বিপরীত দিকে মোড় নিলো..?


রিং আইডি গ্রাহকদের কাছ থেকে একটা ফি নিয়ে তাদেরকে জবের সুযোগ করে দিয়েছিলো যার ফলে বেকারত্ব ঘুচতে শুরু হয়েছিলো, বাংলাদেশ থেকে ফেসবুক ব্রাউজিং কমছিলো, অনলাইন গেমস, টিকটক, লাইকি ইত্যাদির ব্যবহার কমছিলো, এগুলো একটা শ্রেণির মানুষের সহ্য হয়নি যার কারণে নানা রকম কুৎসা রটতে শুরু করে।


শুধু তাই নয়, বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল লেনদেন সমৃদ্ধ 'রিং পে' চালু করার পরিকল্পনা ছিলো রিং আইডির যার ফলে বিকাশ নগদের চেয়ে স্বল্প খরচে মানুষ লেনদেন করতে পারতো। কিন্তু এক শ্রেনীর মানুষ কখনো চায়নি বিকাশ নগদের থেকে বেশি জনপ্রিয়তা 'রিং পে' পেয়ে যাক তাই দাঁড়ানোর আগেই বন্ধ করে দিলো রিং পে।


বিকাশ যেখানে ১৩৩ জন কমিউনিটি নিয়ে মাত্র ৯ বছরে এতটা জনপ্রিয় হয়েছে সেখানে 'রিং আইডির' প্রায় ১২ লাখ কমিউনিটি ছিলো ভেবে দেখুন কত অল্প সময়ে রিং পে এগিয়ে যেতো।


দারাজ যেখানে জিরো কমিউনিটি নিয়ে ই কমার্স সাইটে বাজিমাত করছে সেখানে রিং আইডি শুরুতে ই ১২ লাখ কমিউনিটি নিয়ে কোন প্রকার তোয়াক্কা না করেই দুর্বার গতীতে টপে পৌঁছে যেতো। একটা শ্রেনীর মানুষ এগুলো কখনোই চায়নি।


আপনি ঘরে বসে মাসে লাখ লাখ টাকা কামিয়ে সংসারের হাল ধরলে বাংলাদেশের উপরমহলের পা চাটার মতো শ্রমিক খুঁজে পাওয়া যাবে না তাই রিং আইডির বিরুদ্ধে এত ষড়যন্ত্র।


মাঝখানে টু লাইক, বিডি লাইক,ইনসাফ সেভেন, গোল্ডরাশ, গোল্ডেন লাইন, লাইক সি জেড, বিন্দাসওয়ার্ক ইত্যাদি যখন রাতারাতি মানুষকে সর্বহারা করে দিয়ে গেলো তখন তো কোন সাংবাদিক বা হলুদ মিডিয়া একটা নিউজ ও প্রেজেন্ট করলো না, সিআইডি তো দূরে থাক সামান্য একজন কর্মকর্তা ও মুখ খুললো না। রাতারাতি ১২ শ কোটি টাকা নিয়ে গোল্ডরাশ টু লাইক উধাও কেউ কোন নিউজ করলো না অথচ কোটি কোটি টাকা দিয়ে সততা নিয়ে ব্যবসা করা প্রতিষ্ঠান আর বিলুপ্তির পথে।


একবার ভাবুন ফেসবুক বা গুগুল যারা কিনা সেকেন্ডে কয়েক হাজার মার্কিন ডলার ইনকাম করছে সেখানে রিং আইডির মতো যদি ১০ লাখ প্রমোটার থাকতো আর ওরা যদি আপনাকে ওদের মোট লভ্যাংশের ০.০০০২% ও দিতো তারপর ও আপনি মান্থলি কয়েক কোটি টাকা পেতেন। তাহলে রিং আইডি তাদের প্রফিট থেকে একটা অংশ তার শেয়ারিং ফাউন্ডার বা ব্র‍্যান্ড প্রমোটার দের দিচ্ছে তাতে সমস্যা কোথায়??


বাংলাদেশ সরকারের প্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের উচিত রিং আইডির সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষা করা, সুষ্ঠু সেবা নিশ্চিত করা, জনগনকে দেশের এপস ব্যবহারে উৎসাহিত করা,নানা রকম মিটিং সহ অন্যান্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে বিদেশি এপস পরিহার করে দেশীয় এপস ব্যবহার করা।


রিং আইডির যতটা টাকা জামানত নিয়েছে তার থেকে কয়েকগুণ টাকা গ্রাহককে পেমেন্ট করেছে। অন্যান্য সংবাদমাধ্যম গুলো যাচাই বাছাই করে সংবাদ প্রকাশ করার জন্য দ্রুত একটা সিদ্ধান্ত মন্ত্রনালয় থেকে একান্ত কাম্য।


নবীনতর পূর্বতন

Ads

Ads